বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন
কেদারনাথের সারা আলি খানের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর বয়স ছিল 34 বছর। প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে তাকে তার বান্দ্রার বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং হতাশার জন্যও তাকে চিকিত্সা করা হচ্ছে।
তাঁর মৃত্যু ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি শক হিসাবে প্রকাশিত হয়েছে যারা হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অপরিবর্তনীয় রত্ন হারিয়ে গত দু'মাস ধরে ইরানফান খান ও iষি কাপুরের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পড়েন এবং সাজিদ-ওয়াজিদ জুটির বাজিদ খান মারা যাওয়ার কারণে মারা গেছেন। কার্ডিয়াক সমস্যা।
সুশান্তের প্রাক্তন ব্যবস্থাপক, দিশা স্যালিয়ানও এই সপ্তাহের শুরুতে আত্মহত্যা করেছিলেন। দিশা সোমবার রাতে মালাদে তার অ্যাপার্টমেন্টের 14 তলায় লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন বলে জানা গেছে। সুশান্ত তার দুঃখের মৃত্যুর পরেও তার সমবেদনা জানিয়েছেন।
গত ৮ জুন ১৪ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন সুশান্ত সিং রাজপুতের সাবেক ম্যানেজার দিশা সালিয়ান। দিশার মৃত্যুর মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে সুশান্ত'র মৃত্যু হতবাক করে দিলো উপমহাদেশকে। গোটা দেশ যখন করোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায়, হঠাৎই বলিউডের ওপরে যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। আত্মহত্যা করলেন বলিউডের নতুন প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ সুশান্ত সিং রাজপুত। রবিবার মুম্বাইয়ের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় তার ঝুলন্ত লাশ। বাড়িতে থাকা কাগজপত্র থেকে জানা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন ধরেই ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন তিনি।
অন্যদিকে, মুম্বাইয়ের মালাডের এক বহুতলের ১৪ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন দিশা। প্রেমিক রোহন রাই এবং বন্ধুদের সঙ্গে ডিনারের পর আচমকাই বড় কাচের জানলার কাছে চলে যান দিশা। কিছু বুঝে ওঠার আগে সেখান থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করলেন সেলিব্রিটি ম্যানেজার, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যায় পুলিশ। তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে লকডাউনের সময় থেকে ক্রমশ ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন দিশা। মাঝে মধ্যেই অন্য রকমের ব্যবহার করতেন তিনি। কী কারণে তার ব্যবহারে আচমকা পরিবর্তন আসে, তা নিয়েও পুলিশ খোঁজ শুরু করেছে।
এদিকে সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার ঘটনায় গোটা উপমহাদেশ শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে। ধোনির বায়োপিক থেকে শুরু বেশ কিছু সুপারহিট চলচ্চিত্রের নায়ক সুশান্ত সিং রাজপুত। ১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি পাটনায় জন্মগ্রহণ করেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। পরবর্তীকালে দিল্লিতে চলে আসে তার পরিবার। দিল্লি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও ভর্তি হন। কিন্তু সেইসময় থেকেই থিয়েটারের দিকে ঝোঁকেন তিনি। নাচও শেখেন। তার জন্য পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি।
অভিনয়ের তাগিদ থেকেই শেষ মেশ মুম্বইয়ে চলে আসেন সুশান্ত। সেখানে ২০০৮ সালে প্রথম একতা কাপুরের প্রযোজনায় ‘কিস দেশ মে হ্যাঁ মেরা দিল’ সিরিয়ালে অভিনয় করার সুযোগ পান। সিরিয়ালে অল্প দিনের মধ্যেই তার চরিত্রটির মৃত্যু হয়। তবে সেখান থেকেই একতা কাপুরের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তার। সেই সূত্রেই ২০০৯ সালে ‘পবিত্র রিস্তা’ সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।